সামান্য বৃষ্টিতে জাবির ছাত্রী হলের রাস্তায় জমে পানি, ভোগান্তিতে শ
সাভার কণ্ঠ
প্রকাশিত : ০৯:৩৩ এএম, ২০ মে ২০২৫ মঙ্গলবার

সামান্য বৃষ্টিতে জাবির ছাত্রী হলের রাস্তায় জমে পানি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
আমিনা হোসাইন বুশরা, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল সংলগ্ন সড়কে সামান্য বৃষ্টিতে জমে থাকে পানি। এতে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন আবাসিক হলের নারী শিক্ষার্থীরা। ফুটপাত না থাকা ও রাস্তার পাশে পানি জমে থাকায় সড়কের মাঝখান দিয়ে চলাচল করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে দূর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে।
বৃষ্টির পরে সরেজমিনে দেখা যায়, বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল থেকে নওয়াব ফয়জুন্নেছা হল পর্যন্ত সড়কের অনেক জায়গায় জমে আছে পানি। পাশাপাশি সমাজ–বিজ্ঞান অনুষদের ভবনের নির্মাণ কাজ চলায় রাস্তা হয়ে আছে কর্দমাক্ত। ফুটপাত না থাকায় বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা হাঁটছেন রাস্তার মাঝখান দিয়ে। সরু রাস্তায় চলছে রিকশা ও শাটল গাড়ি, এতে ঝুঁকি বাড়ছে দূর্ঘটনার।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের বেহাল দশা জানার পরেও সংকট সমাধানে কোন ধরনের উদ্যোগ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফুটপাত নির্মাণ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি হলেও এতে কর্ণপাত করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই বৃষ্টি হলে ক্লাস, পরীক্ষা ও অন্যান্য কাজে হল থেকে বের হতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাঁদের।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের তারামন বিবি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মেহেরীন আফরিন বলেন, ‘পরিকল্পিত রাস্তা না হওয়ায় এবং ফুটপাত না থাকার কারণে, বাস কিংবা বড় গাড়ি চলাচলের ফলে পুরো রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে যায়।
পাশাপাশি নিরাপদভাবে রিকশা চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। ভালো ড্রেনিং সিস্টেম (পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা) না থাকায় রাস্তায় পানি জমে থাকে, যেখানে পথচারীদের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।’
বেগম খালেদা জিয়া হলের শিক্ষার্থী আদিবা হক জাইমা বলেন, ‘ক্লাস করতে আমার খালেদা জিয়া হল থেকে সমাজবিজ্ঞান ভবন পর্যন্ত যেতে হয়।
ফলে পথে প্রায় সবগুলো হলের সামনের রাস্তা ব্যবহার করি। প্রায় পুরো রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি আর কাদা জমে হাঁটার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।
সবসময় রিকশা পাওয়া যায় না, তাই কাদা পাড়ি দিয়ে হেঁটে ক্লাস ধরতে অনেক সময় দেরি হয়ে যায়।’ রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘বিগত উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে টেন্ডার বাতিল হওয়ায় আমরা রাস্তা সংস্কারের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তবে খুব শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।’