ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ 

ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় মানিকগঞ্জে আরও একটি মামলা

সাভার কণ্ঠ

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ৭ মে ২০২৫

শেয়ার

ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় মানিকগঞ্জে আরও একটি মামলা
ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় মানিকগঞ্জে আরও একটি মামলা

মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে হামলার ঘটনার ৯ মাস পর ৩৫ জনকে আসামি করে আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি আরমান হোসেন সদর থানার আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলারা আসামিরা হলেন- মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোনায়েম খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসেম আলী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রানা, কাজী রাজু আহমেদ বুলবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকাশ মাহমুদ আব্বাস, জাগির ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সুভাষ সরকার, নবগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী হাসান আল মেহেদি সুহাস, পুটাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহিদুর রহমানসহ অন্যান্যরা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার কোটা বহাল করায় সারা দেশে এর বিরুদ্ধে ন্যায্য আন্দোলন গড়ে উঠলে বাদী ঘটনার দিন দেবেন্দ্র কলেজ থেকে চাকরিতে বৈষম্যমূলক উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে বাসষ্ট্যান্ড যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের শতাধিক কর্মী বেআইনিভাবে খালপাড়ের উত্তর পাশে রামদা, হকিস্টিক, এসএসপাইপ নিয়ে অবস্থান করে। বাদীদের মিছিল খালপাড় ব্রিজের উপরে পৌঁছালে বেআইনিভাবে গতিরোধ করে ভীতি সঞ্চারের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারের উপস্থিতিতে ও অংশগ্রহণে আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে থাকা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। 

এ সময় মিছিলের সবাই দৌড়ে যাওয়ার সময় রামদা দিয়া বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা বরাবর কোপ দিলে বাম পায়ের বাটি কাটিয়া ভাগ হয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে বাদী মাটিতে পড়ে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে থাকা এসএসপাইপ দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা বরাবর বাড়ি দিলে মাথায় দুইস্থানে গুরুতর জখম হয়। এরপরও হত্যা নিশ্চিত করতে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথা বরাবর এলোপাথাড়ি বাড়ি দিলে ডান চোখের উপরে রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। আসামিরা শরীরে উপর্যুপরি কিলঘুষি, লাথি দিয়া নীলা ফুলা জখম করে। পরবর্তীতে অন্যান্য লোকজন চলে এলে বাদীকে উদ্ধার করে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা বলতে থাকে, তোকে আবার পেলে জানে মেরে ফেলবো। 

পরবর্তীতে বাদীকে অন্যান্য ছাত্ররা উদ্ধার করে মুন্নু মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আরও দীর্ঘদিন মুন্নু মেডিকেলে ভর্তি থেকে পায়ে অস্ত্রপাচার করে বাদী চিকিৎসা গ্রহণ করে। দীর্ঘদিন থানায় মামলা করার চেষ্টা করার পরও মামলা রুজু না করায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন। তবে এ মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সারির কোন নেতার নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

novelonlite28
umchltd

সম্পর্কিত বিষয়: